দেশভক্তির সেকাল এবং একাল
ইদানিং এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে তাতে দেখাগেছে কতিপয় মানুষ কিছু মানুষের দেশভক্তির পরীক্ষা নিচ্ছে। 'জয় শ্রীরাম' বা 'জয় ভারতমাতা কি' প্রভৃতি বাক্যাংশ উচ্চারণকে সেখানে দেশভক্তির প্যারামিটার হিসাবে ধরা হচ্ছে।অথচ এই বাক্যাংশ গুলোর উচ্চারণ যে দেশভক্তির বহিপ্রকাশে জরুরী বা সংবিধান নির্দেশিত বা রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিগত প্রচলিত এমনটাও নয়।আবার যেভাবে এই বাক্যাংশ গুলো উচ্চারণ করানো হয় তা এক প্রকার আগ্রষণই বটে।কারণ দেশভক্তি এভাবে মাপা যায়না, নাগরিকদের দেশভক্তি ফুটে উঠে তার কর্মে অর্থাৎ সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার উপর।
তবে এইরূপ পরীক্ষা নিতে দেখাগেছে রাজনীতির নীচুস্তরে।কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা সাংসদ বিধায়ক এতে সরাসরি অংশ নেন নি।তবে ঐ স্তরেও যে দেশভক্তির সংজ্ঞার পরিবর্তন হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।আমরা দেখেছি প্রবীন প্রণব বাবুকে নাগপুরে।ভারতের রাজনীতিতে তিনি বেশ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, তবুও তিনি নির্দিধায় স্বীকৃতি দিলেন যে আর এস এস এর প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ভারত মাতার মহান সন্তান।
দেশ যখন আর একটা স্বাধীনতা দিবসে ভারতমাতার মহান সন্তানগনের স্বাধীনতার আন্দোলনে তাঁদের অবদানকে স্মরণ করল তখন প্রণববাবু বর্ণিত মহান সন্তানের কীর্তিটা যাচাইও প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল।কারণ এই মূহুর্তে 'দেশভক্তি'র সংজ্ঞাটা সংকূচিত হয়েছে না আমাদের 'চেতনা'টা সংকূচিত হয়ে পড়েছে তা দেখা অত্যন্ত জরুরী।
ইতিহাসের পাতা উল্টালেই বোঝাযায় যে, এই সমীক্ষা খুব কঠিন নয়।আর এস এস'র প্রতিষ্ঠাতা এই মহান পুরুষ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কতটা অবদান রেখেছেন তা বিশ্লেষন করলেই আর এস এর বর্তমান দেশভক্তির প্রকৃতি উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে।ইতিহাস বলছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে আপামর জনগন সক্রিয় অংশ গ্রহন করেছিল এমন নয়,তবে বেশিরভাগ মানুষের স্বাধীনতার প্রতি আঙ্কাখা এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল।আবার ইতিহাসে এমন মানুষজনের উপস্থিতির সন্ধান মেলে যারা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধী ছিল।
এই প্রসঙ্গে বঙ্কিমবাবুর কবিতার কয়েকটি লাইন পড়লেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে-
'চিরকাল হয় যেন ব্রিটিশের জয়!
ব্রিটিশের রাজলক্ষী স্থির যেন রয়।।.....
ভারতের প্রিয়পুত্র হিন্দু সমুদয়।
মুক্তমুখে বল সবে ব্রিটিশের জয়।।'('দিল্লীর যুদ্ধ', 'গ্রন্থাবলী', পৃষ্ঠা- ১৯১){ সংগৃহীত }
বস্তুত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন যখন মধ্যগগনে দ্বীপ্তমান।সমগ্র ভারতের আকাশ-বাতাস ব্রিটিশ বিরোধী ধ্বনিতে মুখরিত,১৯৩০ সালে গান্ধীজি ডাক দিয়েছেনআইন অমান্য আন্দোলনের ঠিক তখনি এই আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য এই মহান সন্তান অর্থাৎ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার তাঁর অনুসারী তথা আর এস এস সমর্থকদের এই আন্দোলন থেকে দুরে থাকার নির্দেশ দেন।( তথ্য সূত্র - সি পি ভিসিকর প্রণীত,ডাঃ কেশব রাও হেডগেওয়ার,নিউ দিল্লী,১৯৯৪,পৃ:২০)
বোধহয় আর কিছু বলার অবকাশ থাকতে পারেনা।সুকুমার মতি ভারতীয় যুব সমাজকে এক সময় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দুরে রাখার প্রচেষ্টা করা হয় যে পরিবৃত্ত থেকে আজ সেই পরিবৃত্ত হতে দেশভক্তির প্রশ্ন উঠছে। এর থেকে বড় প্রহসন আর কি থাকতে পারে?সুতরাং ভাবার সময় যে দেরী হয়ে যাচ্ছে এটা অনেকেই অনুমান করছেন।
ইদানিং এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে তাতে দেখাগেছে কতিপয় মানুষ কিছু মানুষের দেশভক্তির পরীক্ষা নিচ্ছে। 'জয় শ্রীরাম' বা 'জয় ভারতমাতা কি' প্রভৃতি বাক্যাংশ উচ্চারণকে সেখানে দেশভক্তির প্যারামিটার হিসাবে ধরা হচ্ছে।অথচ এই বাক্যাংশ গুলোর উচ্চারণ যে দেশভক্তির বহিপ্রকাশে জরুরী বা সংবিধান নির্দেশিত বা রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিগত প্রচলিত এমনটাও নয়।আবার যেভাবে এই বাক্যাংশ গুলো উচ্চারণ করানো হয় তা এক প্রকার আগ্রষণই বটে।কারণ দেশভক্তি এভাবে মাপা যায়না, নাগরিকদের দেশভক্তি ফুটে উঠে তার কর্মে অর্থাৎ সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার উপর।
তবে এইরূপ পরীক্ষা নিতে দেখাগেছে রাজনীতির নীচুস্তরে।কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা সাংসদ বিধায়ক এতে সরাসরি অংশ নেন নি।তবে ঐ স্তরেও যে দেশভক্তির সংজ্ঞার পরিবর্তন হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।আমরা দেখেছি প্রবীন প্রণব বাবুকে নাগপুরে।ভারতের রাজনীতিতে তিনি বেশ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, তবুও তিনি নির্দিধায় স্বীকৃতি দিলেন যে আর এস এস এর প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ভারত মাতার মহান সন্তান।
দেশ যখন আর একটা স্বাধীনতা দিবসে ভারতমাতার মহান সন্তানগনের স্বাধীনতার আন্দোলনে তাঁদের অবদানকে স্মরণ করল তখন প্রণববাবু বর্ণিত মহান সন্তানের কীর্তিটা যাচাইও প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল।কারণ এই মূহুর্তে 'দেশভক্তি'র সংজ্ঞাটা সংকূচিত হয়েছে না আমাদের 'চেতনা'টা সংকূচিত হয়ে পড়েছে তা দেখা অত্যন্ত জরুরী।
ইতিহাসের পাতা উল্টালেই বোঝাযায় যে, এই সমীক্ষা খুব কঠিন নয়।আর এস এস'র প্রতিষ্ঠাতা এই মহান পুরুষ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে কতটা অবদান রেখেছেন তা বিশ্লেষন করলেই আর এস এর বর্তমান দেশভক্তির প্রকৃতি উদ্ঘাটিত হয়ে যাবে।ইতিহাস বলছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যে আপামর জনগন সক্রিয় অংশ গ্রহন করেছিল এমন নয়,তবে বেশিরভাগ মানুষের স্বাধীনতার প্রতি আঙ্কাখা এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল।আবার ইতিহাসে এমন মানুষজনের উপস্থিতির সন্ধান মেলে যারা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধী ছিল।
এই প্রসঙ্গে বঙ্কিমবাবুর কবিতার কয়েকটি লাইন পড়লেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে-
'চিরকাল হয় যেন ব্রিটিশের জয়!
ব্রিটিশের রাজলক্ষী স্থির যেন রয়।।.....
ভারতের প্রিয়পুত্র হিন্দু সমুদয়।
মুক্তমুখে বল সবে ব্রিটিশের জয়।।'('দিল্লীর যুদ্ধ', 'গ্রন্থাবলী', পৃষ্ঠা- ১৯১){ সংগৃহীত }
বস্তুত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন যখন মধ্যগগনে দ্বীপ্তমান।সমগ্র ভারতের আকাশ-বাতাস ব্রিটিশ বিরোধী ধ্বনিতে মুখরিত,১৯৩০ সালে গান্ধীজি ডাক দিয়েছেনআইন অমান্য আন্দোলনের ঠিক তখনি এই আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য এই মহান সন্তান অর্থাৎ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার তাঁর অনুসারী তথা আর এস এস সমর্থকদের এই আন্দোলন থেকে দুরে থাকার নির্দেশ দেন।( তথ্য সূত্র - সি পি ভিসিকর প্রণীত,ডাঃ কেশব রাও হেডগেওয়ার,নিউ দিল্লী,১৯৯৪,পৃ:২০)
বোধহয় আর কিছু বলার অবকাশ থাকতে পারেনা।সুকুমার মতি ভারতীয় যুব সমাজকে এক সময় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দুরে রাখার প্রচেষ্টা করা হয় যে পরিবৃত্ত থেকে আজ সেই পরিবৃত্ত হতে দেশভক্তির প্রশ্ন উঠছে। এর থেকে বড় প্রহসন আর কি থাকতে পারে?সুতরাং ভাবার সময় যে দেরী হয়ে যাচ্ছে এটা অনেকেই অনুমান করছেন।
Comments