রেশমিন খাতুন
আমার পরিবার থেকে ঠিক হলো এবার সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক ঘুরতে যাবো। সেটা জানার পর থেকে মনে ভীষণ আনদ হচ্ছিল। বোলপুর থেকে সকাল নটার ট্রেন, নিউ জলপাইগুড়ি যখন পৌছালাম তখন সন্ধ্যা সাতটা। ভাই আগে থেকেই থাকার সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল। নেমে ফোন করতেই তারা পৌঁছে গেল আমাদের কে নিয়ে যেতে। পেডং-য়ে পৌঁছে 'নীল পাহাড়ি' হোম-স্টে তে আমাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। আমার যখন সেখানে পৌঁছালাম তখন রাত্তির এগারোটা প্রায়। ওরা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি ওদের অয়ামিক ব্যবহারে অনেকটাই উধাও হয়ে গেল। রাত্তিরের খাবার ওরা আমাদের রুমে সাজিয়ে দিয়ে সেদিনের মত বিদায় জানালো। আমরাও তড়িঘড়ি খাওয়া দাওয়া করে ক্লান্ত শরীরে বিছানায় পড়তেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। সকালে মেজবুবুর ডাকে ঘুম ভাঙল। রাত্তিরে যখন এসেছি আশে পাশের কিছু সেভাবে লক্ষ্য করতে পারিনি। এখন ঘরের জানালাটা খুলতেই সকালের আলোয় সব চোখের সামনে উপস্থিত। সামনেই পাহাড় আর সারি সারি পাইনের জঙ্গল। শুধুই মোহাবিষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় এমন অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। ছাদে পা রাখতেই হিমেল হাওয়ার শীতল পরশ তাদের নতুন অতিথিদের যেন আলিঙ্গন করল। সেই ছাদ থেকেই সেদিনের মত সুর্যোদয় দেখলাম। এক অন্যরকম ভালো লাগা মনটাকে জুড়িয়ে দিলো।
যে কয়েকদিন ছিলাম আমরা অনেক জায়গা Changu lake.Nathang lake.Thambi view point.Zuluk.Zigzag Silk route.Que khola falls. Aritar lake.Mangkhim view point. Vishunu vunayak Temple.Elephant lake. Old Baba Mandir.etc. ঘুরেছি। পেডং,আরিতার, জুলুক, ছাঙ্গু লেক, গনেশ টক আরও নাম না জানা বহু পাহাড়ি ঝর্ণা। তারপর ওখান থেকে আরিতারে পরের দিন পৌঁছালাম "অলিভ হোম"-এ। ভাইয়ের স্যারের পরিচিত প্রণয় প্রধানের হোম স্টে । ওর দিদি প্রনোনিভা কী ভীষন মিষ্টি দেখতে আর তেমনই আন্তরিক মানুষ তাঁরা। সত্যিই হোম স্টে গুলোর আতিথেয়তা মনে রাখার মতই। সুস্বাদু খাবার পরিবেশন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা, তাদের কথা মনে থাকবে আজীবন।
ঈশ্বর যেন এই শহর টাকে নিজের হাতে সাজিয়ে দিয়েছে। এখানের ড্রাইভার গুলো কিন্তু দারুণ হ্যান্ডসাম।।ক্রাশ খাওয়া যায় অনায়াসে। হরি আর অর্পণ, এই দুইজনের নাম মনে আছে। এদের গাড়ি চালানোর হাত দারুণ পাকা। এমন পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তাতে এভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অবশ্যই সুদক্ষ চালক হতে হবে।
পরের দিন আমিরা গেছিলাম জুলুক। সমুদ্রতট থেকে ১৩০০০ ফুট উচ্চতায় যখন উঠছিলাম তখন মেঘগুলো যেন ছোঁয়া যাচ্ছে। কী ভীষণ ঠান্ডা" ওই উচ্চতায় পৌঁছে মনে হচ্ছে যেন ঈশ্বরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। ড্রাইভার হরি ভাইয়ার কাছে শুনলাম এখানে নাকি সকলের মনোকামনা পূরণ হয়। তাই পরিচিত সকলের জন্য প্রার্থনা করলাম সুযোগ বুঝে। জুলুকে দুইজন মহিলার কাছে হোম স্টে ছিলাম। ওদের সুব্যবহার ও বহুদিন মনে থাকবে।
তারপর ওখান থেকে রওনা দিলাম গ্যাংটক। সেখানে ছিলাম দুইদিন। MG বাজার, লাল বাজার ঘুরলাম। বেশ কিছু কেনাকাটাও করলাম। তবে তুলনামূলক ভাবে রঙিলা বাজারে জিনিষপত্রের দাম কম। রাতের গ্যাংটকের সৌন্দর্য আলাদা রকম। হরেক রকম আলোকসজ্জা দেখে দেখে মন ভরে গেছে।
দুইপাশে পাহাড়, পাহাড়ের ধারে ধারে হাজারো নাম না জানা রঙিন ফুল। তবে হরি ভাইয়া বলল মার্চ মাসে পাহাড়ের ঢাল গুলো একেবারে ফুলে ফুলে ঢেকে যায়। এখন তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম।
যেকটা দিন ছিলাম ভীষণ ভীষণ ভালো সময় কেটেছে। অনেক সুমধুর স্মৃতি মুঠোফোনে ধরে রেখেছি। বাড়ি ফেরার দিন খুবই মন খারাপ করছিল। কিন্তু উপায় ও তো নেই, ফিরতে তো হবেই।
কী জানি ফের কবে আবার সুযোগ হবে ওই পাহাড়ের কোলে নিজেকে হারিয়ে ফেলার। সেই অপেক্ষায় আপাতত দিন গোনা শুরু।
আমার পরিবার থেকে ঠিক হলো এবার সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক ঘুরতে যাবো। সেটা জানার পর থেকে মনে ভীষণ আনদ হচ্ছিল। বোলপুর থেকে সকাল নটার ট্রেন, নিউ জলপাইগুড়ি যখন পৌছালাম তখন সন্ধ্যা সাতটা। ভাই আগে থেকেই থাকার সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল। নেমে ফোন করতেই তারা পৌঁছে গেল আমাদের কে নিয়ে যেতে। পেডং-য়ে পৌঁছে 'নীল পাহাড়ি' হোম-স্টে তে আমাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। আমার যখন সেখানে পৌঁছালাম তখন রাত্তির এগারোটা প্রায়। ওরা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি ওদের অয়ামিক ব্যবহারে অনেকটাই উধাও হয়ে গেল। রাত্তিরের খাবার ওরা আমাদের রুমে সাজিয়ে দিয়ে সেদিনের মত বিদায় জানালো। আমরাও তড়িঘড়ি খাওয়া দাওয়া করে ক্লান্ত শরীরে বিছানায় পড়তেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। সকালে মেজবুবুর ডাকে ঘুম ভাঙল। রাত্তিরে যখন এসেছি আশে পাশের কিছু সেভাবে লক্ষ্য করতে পারিনি। এখন ঘরের জানালাটা খুলতেই সকালের আলোয় সব চোখের সামনে উপস্থিত। সামনেই পাহাড় আর সারি সারি পাইনের জঙ্গল। শুধুই মোহাবিষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় এমন অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। ছাদে পা রাখতেই হিমেল হাওয়ার শীতল পরশ তাদের নতুন অতিথিদের যেন আলিঙ্গন করল। সেই ছাদ থেকেই সেদিনের মত সুর্যোদয় দেখলাম। এক অন্যরকম ভালো লাগা মনটাকে জুড়িয়ে দিলো।
যে কয়েকদিন ছিলাম আমরা অনেক জায়গা Changu lake.Nathang lake.Thambi view point.Zuluk.Zigzag Silk route.Que khola falls. Aritar lake.Mangkhim view point. Vishunu vunayak Temple.Elephant lake. Old Baba Mandir.etc. ঘুরেছি। পেডং,আরিতার, জুলুক, ছাঙ্গু লেক, গনেশ টক আরও নাম না জানা বহু পাহাড়ি ঝর্ণা। তারপর ওখান থেকে আরিতারে পরের দিন পৌঁছালাম "অলিভ হোম"-এ। ভাইয়ের স্যারের পরিচিত প্রণয় প্রধানের হোম স্টে । ওর দিদি প্রনোনিভা কী ভীষন মিষ্টি দেখতে আর তেমনই আন্তরিক মানুষ তাঁরা। সত্যিই হোম স্টে গুলোর আতিথেয়তা মনে রাখার মতই। সুস্বাদু খাবার পরিবেশন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা, তাদের কথা মনে থাকবে আজীবন।
ঈশ্বর যেন এই শহর টাকে নিজের হাতে সাজিয়ে দিয়েছে। এখানের ড্রাইভার গুলো কিন্তু দারুণ হ্যান্ডসাম।।ক্রাশ খাওয়া যায় অনায়াসে। হরি আর অর্পণ, এই দুইজনের নাম মনে আছে। এদের গাড়ি চালানোর হাত দারুণ পাকা। এমন পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তাতে এভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অবশ্যই সুদক্ষ চালক হতে হবে।
পরের দিন আমিরা গেছিলাম জুলুক। সমুদ্রতট থেকে ১৩০০০ ফুট উচ্চতায় যখন উঠছিলাম তখন মেঘগুলো যেন ছোঁয়া যাচ্ছে। কী ভীষণ ঠান্ডা" ওই উচ্চতায় পৌঁছে মনে হচ্ছে যেন ঈশ্বরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। ড্রাইভার হরি ভাইয়ার কাছে শুনলাম এখানে নাকি সকলের মনোকামনা পূরণ হয়। তাই পরিচিত সকলের জন্য প্রার্থনা করলাম সুযোগ বুঝে। জুলুকে দুইজন মহিলার কাছে হোম স্টে ছিলাম। ওদের সুব্যবহার ও বহুদিন মনে থাকবে।
তারপর ওখান থেকে রওনা দিলাম গ্যাংটক। সেখানে ছিলাম দুইদিন। MG বাজার, লাল বাজার ঘুরলাম। বেশ কিছু কেনাকাটাও করলাম। তবে তুলনামূলক ভাবে রঙিলা বাজারে জিনিষপত্রের দাম কম। রাতের গ্যাংটকের সৌন্দর্য আলাদা রকম। হরেক রকম আলোকসজ্জা দেখে দেখে মন ভরে গেছে।
দুইপাশে পাহাড়, পাহাড়ের ধারে ধারে হাজারো নাম না জানা রঙিন ফুল। তবে হরি ভাইয়া বলল মার্চ মাসে পাহাড়ের ঢাল গুলো একেবারে ফুলে ফুলে ঢেকে যায়। এখন তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম।
যেকটা দিন ছিলাম ভীষণ ভীষণ ভালো সময় কেটেছে। অনেক সুমধুর স্মৃতি মুঠোফোনে ধরে রেখেছি। বাড়ি ফেরার দিন খুবই মন খারাপ করছিল। কিন্তু উপায় ও তো নেই, ফিরতে তো হবেই।
কী জানি ফের কবে আবার সুযোগ হবে ওই পাহাড়ের কোলে নিজেকে হারিয়ে ফেলার। সেই অপেক্ষায় আপাতত দিন গোনা শুরু।
Comments